শফিক আজাদ, উখিয়ার কুুতুপালং থেকে:

মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বালুখালী ষ্টেশনে এক জনসভায় তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু এত রোহিঙ্গা রাখার ক্ষমতা নেই আমাদের। এসময় তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করে আমরা সব সময় পাশে থাকব। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রোহিঙ্গাদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে কাজ করার অনুরোধ জানান পল্লী বন্ধু এরশাদ।

রাখাইন (আরকান) রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের উপর দমন, নিপীড়ন শুরু করেছে তা বন্ধ করতে হবে। খুবই অভাগ লাগে রোহিঙ্গাদের নির্মমতার কথা শুনলে কারণ তাদের অনেকের ছেলে,মেয়ে,স্বামী,স্ত্রী,পুত্র সহ নিটত্মীয় হারিয়ে ফেলেছে। এমনিক গুলি খাওয়া লাশ নদীতে সাগরে ভেসে আসছে।

এ সময় রোহিঙ্গাদের যেন কোনও কষ্ট না হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে সেজন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। বক্তব্য শেষে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান।

এসময় সাথে ছিলেন, জাতাীয়পার্টির (জাপা)’র মহাসচিব এবিএম রুজুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহাম্মদ বাবলু, ছৈয়দ হোসেন বাবলা এমপি, এসএম ফয়সাল চিশতি, সোলাইমান শেঠ, কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মৌলভী ইলিয়াছ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান প্রমূখ।

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় দেশটির একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ নানা নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নির্মম নির্যাতন, স্বজনের মৃতদেহ রেখে টানা না খেয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক নতুন,পুরাতন মিলে ৭লাখ রোহিঙ্গরা।